অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ভাবসম্প্রসারন

 অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ভাবসম্প্রসারন
অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ভাবসম্প্রসারন

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে

                                                 তব ঘৃণা তারে যেন তৃণসম দহে।

মূলভাব: অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়েই পাপী। অন্যায় করা যেমন পাপ, অন্যায় সহ্য করে প্রশয় দেয়ার মাধ্যমে অন্যায়ের বিস্তার ঘটানোর কাজে সাহায্য করাও পাপ।

সম্প্রসারিত ভাব: এ বিশ্ব চরাচরে মানুষ নানা কারণে অন্যায় করে কখনো আবেগ তাড়িত হয়ে, কখনো সঙ্গদোষে অপ্রাপ্তির জ্বালায়। অন্যায় সবসময় ও সার্বিক দিক দিয়ে পরিত্যাজ্য। তাই অন্যায়কারী ও অন্যায় সহ্যকারী উভয়েই বিবেকবান লোকের কাছে ঘৃণার পাত্র। কেউ যদি নিজের শক্তি সামর্থ্য দ্বারা অন্যের উপর অন্যায় করে এবং অন্যায় পীড়িত লোক তার প্রতিবাদ করে, তবে তাকে নিদারুণ দুঃখ ভোগ করতে হয়। এখানে অনেক অনিচ্ছা সত্ত্বেও অক্ষমতাবশত অন্যায়কে মেনে নেয়।

তাই অন্যায়কারী ক্রমাগত দ্বিধাহীনভাবে অন্যায় করতেই থাকে। ক্রমে সে বিবেক বর্জিত হয়। তাই জ্ঞানীগণ অন্যায়কারী ও অন্যায়সহ্যকারী ব্যক্তিকে ঘৃণার চোখে দেখে থাকেন। অতএব সামর্থ্য ও ক্ষমতা অনুযায়ী অন্যায়ের প্রতিরোধ করা এবং অন্যায় গোচরীভূত হলেতা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধান করা সকলের কর্তব্য।

অন্যায় প্রতিরোধের চেষ্টা যদি ব্যর্থও হয় তবু তাকে হৃদয় দিয়ে ঘৃণা করে হীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা উচিত। রাসূল (স) বলেন, কেউ অন্যায় কাজ দেখলে তা হাত দিয়ে প্রতিরোধ করবে। তাতে সমর্থ না হলে মুখ দিয়ে এবং তাতেও সমর্থ না হলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করবে।


Post a Comment

Pllease wait a moment

Previous Post Next Post