একটি প্রত্যক্ষ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুর কাছে একটি পত্র লেখ
বন্দর বাজার, সিলেট
মার্চ ১০, ২০২০
প্রিয় আদনান,
প্রথমে আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি ভালো আছ। আজ তোমাকে এমন একটি দুর্ঘটনার কথা বলব যা আমার চোখের সামনে ঘটেছে গত জানুয়ারি মাসে। খবরের কাগজে, রেডিওতে, লোখমুখে চারপাশ হররোজ দুর্ঘটনার খবর কানে এসে পৌছায়। সেগুলো আমরা শুনি বটে কিন্তু মোটেই অনুভব করি না। এর জলন্ত প্রমান সিদিনের ঘটনা। তখন সকাল দশটা হবে। আমি সকাল সাতটা থেকে টেবিলে বসে রবীন্দ্রনাথের গল্পগুচ্ছ পড়ছিলাম। বেশ ক্লান্ত লাগছিল। তাই বাইরে একটু পায়চারি করে ফিসে এসে বইখানা শেষ করব মনে করে ঘর থেকে বের হলাম। জানইতো আমার বাংলা ঘর মেইন রোডের পাশে। ঘর থেকে বেরিযে রাস্তার ওপর আসার মিনিট খানেক পরেই ঢাকা থেকে মংলাগামী দুটো বাস দ্রুতবেগে চলে গেল। পথচারীদের বিকট চিৎকার পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলাম পাশের বাড়ির মনু চাচার ১০ চছরের ছেলে বশির রক্তাক্ত দেহে রাস্তায় লোটাচ্ছে। একটা পা দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দুরে ছিটকে পড়ে রয়েছে। একবার দেখে আমার হাত-পা কাপতে লাগল। ঘাতক বাসটি কিন্তু খুব দ্রুত পালিয়ে গেছে। একটু পরেই বশিরের মা এসে উপস্থিত। নিহত রক্তাক্ত ছেলের দিকে তাকিয়ে মা বুকফাটা চিৎকারে রাস্তায় পড়ে গেলেন। আমি বেশিক্ষণ সেখানে থাকতে পারিনি। বাড়ি চলে এসেছি। কিন্তু সব উলটপালট, পড়তে মন বসে না। খাওয়-দাওয়া চলাফেরা কিছুই ভালো লাগে না । শুদু কিসের যেন একটা আতঙ্ক। এ ঘটনার কথা হয়ত আমি কোনদিনও ভুলতে পারব না। যন্ত্র দানবের হিংস্র থাবা আদম সন্তানদের রক্ষাকবচ এ কম্পিউটারের যুগেও মিলবে না? আজ অনেক লিখলাম। তোমার চিঠির অপেক্ষায় রইলাম।
প্রীতিমুগ্ধ
রিয়াজ উদ্দীন
Post a Comment
Pllease wait a moment